চাল-ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল, ছোলা-খেজুর, আটা-ময়দা, পেয়াজ ও সকল প্রকার ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে পৃথিবীর অনেক দেশে ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্যের মূল্য কম রাখে। অথচ আমাদের দেশে তার উল্টা। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে ইতি মধ্যে চাল- ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল, ছোলা, খেজুর, আটা-ময়দা, পেয়াজ ও ঔষধসহ সকল ধরনের নিত্যপন্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিন্মবিত্ত, নিন্মমধ্য বিত্ত পরিবার তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের ঔষধ কিনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ বাজারে সব ধরনের পন্যের সরবারহ স্বাভাবিক। কিন্তু কতিপয় কালোবাজারী, অধিক মুনাফাখোর সিন্ডিকেটধারীরা পন্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, ভাড়া বৃদ্ধির কথা শুনিয়ে যে যেভাবে পারছে প্রতারনা করেই চলছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি অভিযান পরিচালনা হলেও পরে যা তাই।
সারা বছর যাতে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা যায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে লোকবল বৃদ্ধির আহব্বান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ভোক্তাগন স্বল্প মূল্যে নিরাপদ খাদ্যে ও নিত্যপন্য পেতে পারে তার ব্যবস্থার জন্য সরকারি সকল সংস্থাকে দায়িত্ব পালনে আরো কঠিন এবং কঠোর ভুমিকা পালন করতে হবে। বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি পেলে আবার সব ধরণের পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। দিন শেষে সাধারন গ্রাহকদের অধিক মূল্য দিতে হবে। বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি না করে সেবার মান বৃদ্ধির দাবি ও ভোক্তাগনের কথা ভেবে এই মুহুতে বিদ্যুৎ এর মূল্য না বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান এবং যারা চিনির বাজারকে অস্তিতিশীল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদেরকে চিহিৃত করে শাস্তি ও জরিমানার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তৃতা করেন এবং উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডা. আ. সালাম, জি এম মহিউদ্দিন, এড. কাজি আমিনুল ইসলাম মিঠু, মো. কামরুল ইসলাম কামু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মুন্সি আহমেদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, শেখ মোহাম্মাদ আলী, এম এ জলিল, কাওসারি জাহান মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো, সাংগাঠনিক সম্পাদক, মো. শাকিল আহমেদ রাজা, মো. আ. রাজ্জাক, কারি শরীফ মিজানুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম, কবিতা আহমেদ, মো. আরিফ আহমেদ, মো. জিসান রহমান, মো. তাহেরুল আলম, মো. শফিকুল ইসলাম অভি, শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, শিক্ষক আ. মান্নান, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জয়নাল আবেদিন, আ. মান্নান মুন্নাফ, মো. জাভেদ আক্তার, মো. আলাউদ্দিন, মো. মিকাইল হোসেন, তৈয়বুর রহমান, মো. আবু বক্কার, মো. আজমল হোসেন প্রমুখ।
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/ এএজে