ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পঞ্চম দিনে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লঞ্চঘাট সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর দক্ষিণ তীর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় আজ সকালে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। স্বজনহারা মনির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত ফায়ার সার্ভিস জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর হতে পারে। মরদেহে আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নতুন করে করা মামলার বাদী মনির হোসেন ঢাকার ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগনি সামাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তাঁরা সবাই নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে, সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। আগুনের সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়েপড়াদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম