করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ বা লকডাউন আরও বাড়বে কিনা, তা জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ বিবেচনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় এ বিষয়ে জুম মিটিং হবে। এতে ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। আলোচনার মাধ্যমে তারাই লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব (মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা) মো. রেজাউল ইসলাম।
দুই-একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আরোপ করে লকডাউন আরও সাত দিন বাড়ানো হতে পারে। অর্ধেক জনবল নিয়ে চালু হতে পারে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো। এ ছাড়া গণপরিবহনও সীমিত পরিসরে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। মার্কেট-শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাটও শর্তসাপেক্ষে খোলার চিন্তা। কারণ সাধারণ মানুষ কোনোভাবেই আর লকডাউন চাচ্ছে না। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত শনিবার এ বিষয়ে বলেছিলেন- ‘লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ আমাদের মাথায় আছে। কারণ সব কিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সে জন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ আগস্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন শিথিলের পর গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের দেশে কঠোর লকডাউন চলছে, যা শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। তবে শ্রমিকদের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা না করেই শিল্পকারখানা খুলে দিয়ে যে চরম অব্যবস্থাপনা সরকার করেছে, তার কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
খুলনা গেজেট/কেএম