উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, র্যাগিংয়ের সাথে শারীরিক-মানসিক এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত মিশে গেছে। এটা আমাদের মর্যাদা ও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয় না। শুধু রাজনৈতিক স্লোগান দেয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর কাজ নয়, মানবিক ও বসবাসযোগ্য দেশ বানাতে হলে এক্ষেত্রে তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রবিবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে র্যাগিং বিরোধী র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ জাতীয় ঘটনা যদি দ্বিতীয়বার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট এত কিছুর দরকার হবে না। এক্ষেত্রে উই উইল বি এনাফ। সেটা যদি আমার চাকুরি ও জীবনেরও কিছু হয় তাহলে সে রিস্ক নিতেও আমি প্রস্তুত। আজকে আমাদের অঙ্গীকার হোক আগামীতে যেন এন্টি র্যাগিং বিরোধী কোন মিছিল, র্যালি বা সমাবেশ না করতে হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যাগিং বিরোধী র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় এন্টি র্যাগিং বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। এছাড়া শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম