রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের প্রতি আরও নিষেধাজ্ঞার আশা করে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ -যুক্তরাষ্ট্র অষ্টম সংলাপের পর এসব কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে পারে৷ আর যুক্তরাষ্ট্রের আইনেই RAB- এর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।
ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯ টায় স্টেট ডিপার্টমেন্টে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বনি জনকেনস এর সাথে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে বসেন পররাষ্ট্রসচিব। এর আগে পরিচালক পর্যায়ে এই বৈঠক হলেও পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে প্রথমবারের মতো হলো এই বৈঠক।
দিনব্যাপী বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিকালে জানান, জিসোমিয়া, র্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নবম সংলাপের আগেই জিসোমিয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ডিসেম্বর ১০ তারিখে তারা যে সেংশন দিয়েছে তাতে করে কিছুটা হলেও ব্যাহত হতে পারে। তাছাড়া ব্যক্তিগত যে সেংশনগুলো আছে সেগুলো এই সার্ভিসের মোরালের জন্য একটা অগ্রিম প্রভাব আনতে পারে।’
র্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞা এখনই প্রত্যাহার না হলেও গত চারমাসে পরিস্থিতির উন্নয়নকে ইতিবাচকভাবেই পর্যবেক্ষন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা তৃতীয় স্তরে তারা যে ভার্সনটা দিয়েছে সে আমরা এখন যাচাই বাছাই করে দেখছি। এবং পরবর্তী যে চতুর্থ ধাপ আছে যেটা তাদের দেশ থেকে একটা রিলেশন গিয়ে আমাদের বিধিবিধানগুলো দেখে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের প্রতি আরও নিষেধাজ্ঞা আশা করে বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, তাদের আরও শক্তিশালী হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে, যেন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে বাংলাদেশের মতামত তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।