মহান আল্লাহ তার বান্দার প্রতি সর্বক্ষেত্রেই অপার দয়া ও কৃপার আচরণ করে থাকেন। যার সর্বোচ্চ পর্যায় হলো নেকী প্রদানের ক্ষেত্রে আমলের ১০ গুণ থেকে সত্তর গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। এবং পাপের প্রতিদানের ক্ষেত্রে কেবল একটি পাপেরই গোনাহ লিপিবদ্ধ করা।
তবে এর বাইরেও মহান আল্লাহ চাইলে কারো জন্য অগণিত নেকী বৃদ্ধি করতেও পারেন। তিনি বলেন- নিশ্চয়ই ধৈর্য্যশীলদের প্রতিদান অগণিত বৃদ্ধি করা হবে। (সুরা যুমার-১০)
তবে রোজাদারের প্রতিদানের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর নীতি একেবারেই আলাদা। সকল নিয়মের উর্ধ্বে। বিশেষ মর্যাদায় তাকে এই বিনিময় দেওয়া হয়। নবীজি (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ হাদীসে কুদসীতে এরশাদ করেন- প্রত্যেক আদম সন্তানের নেক আমলের জন্য তাকে নির্ধারিত বিনিময় দেওয়া হবে। তবে রোজার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। রোজা কেবল আমার জন্য। রোজাদারকে তার বিনিময় আমি স্বয়ং নিজ হাতেই দান করবো। (মুসনাদে আহমাদ-৭৭৮৮)।
সুবহানাল্লাহ। কত বড় মর্যাদা! কত বিশাল প্রাপ্তি রোজাদারের জন্য। স্বাভাবিকভাবে আমাদের প্রচলনে কোন কিছু বন্টন করার ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট কারো ব্যাপারে বলা হয় ‘অমুক ব্যক্তিকে সাধারণ বন্টন থেকে দেওয়ার প্রয়োজন নাই স্বয়ং মালিক নিজেই তাকে নিজের ইচ্ছা মাফিক দান করবেন’ তবে তা তার জন্য কত বড় মর্যাদা ও গৌরবের বিষয়! কারো বুঝতে বাকি থাকে না যে, এ দান নিশ্চয় নির্ধারিত প্রাপ্তি হতে অনেক বেশী হবে।
হাদীসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের আরো একটি সুন্দর ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। যা আরো বেশী স্বস্তিদায়ক। আর তা হলো, যদি “আযঝাবিহি” কে “উজঝাবিহি” পড়া হয় তবে এর অর্থ হবে- “রোজা আমার জন্য এবং আমি আল্লাহ স্বয়ং এর প্রতিদান”। অর্থাৎ রোজাদারের পুরস্কার হলো সে স্বয়ং আল্লাহকে পেয়ে যাবে। আর বলা বাহুল্য, এর চেয়ে উত্তম কিছু আর কি হতে পারে!
খুলনা গেজেট/এনএম