নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফিরেনি। কয়েক দিন ধরে কিছু মালামাল বেচা যাচ্ছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মাল বেচি। এতে প্রতিদিন আয় হয় ৪০০ টাকা। কোনো দিন তাও হয় না। পরিবারে লোকসংখ্যা ৮ জন। এতগুলো লোকের ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচ মিটে না এই টাকায়। রোজগার কম হওয়ায় খুব কষ্টে সংসার চলছে।
এভাবেই নিজের কষ্টের কথাগুলো বলেন ইকরামুল গাজী (৪৭)। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলা নওয়াপাড়া বাজারের কাঁচা তরকারি (সবজি) বিক্রেতা। তার বাড়ি উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের গাজীপাড়া এলাকায়। ২৩ বছর ধরে তিনি বাজারে সবজি বিক্রি করছেন। তার যৌথ পরিবারে এতগুলো লোকের খাবার ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হয় মূলত তাঁকেই।
বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইকরামুলের দোকানে আলু, পেঁপে, গাজর, টমেটো, ফুলকপিসহ আরও বেশ কিছু কাঁচা তরকারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মাঝে মধ্যে দাঁড়িয়ে পানি ছিটিয়ে কাঁচা তরকারি সতেজ রাখার চেষ্টা করছেন। দু-একজন ক্রেতারা দর কষাকষি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাজারে তার পাশে বসা সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমান ও আবু জাফর বলেন, নওয়াপাড়া বাজারে কয়েক দিন ধরে কিছু সবজি বেচাকেনা হচ্ছে। এখন প্রতিদিন গড়ে স্থানীয় একটি আড়ত থেকে কাঁচা সবজি ক্রয় করছি। পরিবহন খরচ মিটিয়ে সেগুলো বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
উপজেলার নওয়াপাড়া কাঁচা তরকারি বিক্রেতা আল আমিন হোসেন বলেন, বাজারে সবজি বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ হলো দাম কিছুটা বেশি রয়েছে। ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় সবজি তেমন বিক্রি হচ্ছে না। লোকজন সেভাবে এখনো আর বাজারে আসে না। আসলেও আগের মতো কাঁচা তরকারি কিনে না। বেচাকেনা খুব খারাপ যাচ্ছে। প্রতিদিন যে টাকা আয় করি তা দিয়া সংসার চলছে না।
খুলনা গেজেট/এনএম