বাগেরহাটের চিতলমারী বর্তমানে করোনা রোগী নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকি এবং প্রচার-প্রচারণায় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সাফল্য এসেছে। এখানে করোনায় মৃতের সংখ্যাও শূণ্য। তবে শীতকে সামনে রেখে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রোগী বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সকলকেই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ডা. মামুন হাসান আরও জানান, গত ১৫ মার্চ বাগেরহাট জেলার মধ্যে প্রথম চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের মাওলানা কবিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) করোনা আক্রান্ত হন। ১৬ মার্চ বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির ও চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলমসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা পাটরপাড়ায় ছুটে যান। ওইদিন প্রশাসন করোনা আক্রান্ত কবিরুলের বাড়ির পাশের ১৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সাথে সাথে এ উপজেলায় রোগীর সংখ্যা দাড়ায় ৬৮ জনে। এদের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। এ উপজেলায় মোট ৩৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বেশ বিছিু দিন ধরে এখানের নমুনাগুলোর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসছে। শুক্রবার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত চিতলমারী উপজেলায় করোনা রোগির সংখ্যা শূণ্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম জানান, এই মূহুর্তে চিতলমারীকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। কারণ সামনে শীত। তাই একটা শঙ্কা রয়েছে। মানুষকে অবশ্যই করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর এ জন্য উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের দুইটি টিম কাজ করছে।
খুলনা গেজেট / এমএম