স্কটল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়ের পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। অনেক সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সমালোচনা হয়েছিল। এর কড়া জবাব দিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সিনিয়রদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্নের কড়া জবাব দিলেন রিয়াদ
সিনিয়রদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন না তোলার আহ্বান রিয়াদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ওমানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের পর সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, সিনিয়ররাই টি-টোয়েন্টিতে বেশি ভালো করছেন। মুশফিকুর রহিম ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব ও রিয়াদ। সাকিবের ‘প্রতিবাদী’ সুর পাওয়া গেল রিয়াদের কথাতেও।
রিয়াদ জানান, গণমাধ্যম, ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে সব জায়গার সমালোচনা স্পর্শ করে দলকেও। তিনি বলেন, ‘স্পর্শ সবই করে। আমরা মানুষ, আমাদেরও অনুভূতি কাজ করে। আমাদের সবার পরিবার আছে, আমাদের বাবা-মায়েরা, বাচ্চারা টিভির সামনে বসে থাকেন। তারাও মন খারাপ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও এখন হাতের নাগালে।’
সমালোচনায় রিয়াদের কোনো আপত্তি নেই। তার মতে, খারাপ খেললে সমালোচনা করা দোষের কিছু নয়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত সমালোচনা বা কাউকে খুব ছোট করে দেখার মানসিকতায়ই মূলত ক্ষেপেছেন রিয়াদরা।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা তো হবেই। খারাপ খেলেছি, অবশ্যই সমালোচনা হবে। কেন হবে না? কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে কেউ কাউকে খুব ছোট করে ফেললে খুব খারাপ লাগে। অনেক প্রশ্ন এসেছে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠেছে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এরকম না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। হয়ত ফলাফল পক্ষে আনতে পারিনি। সমালোচনা কাম্য। কিন্তু আরেকটু স্বাস্থ্যকর সমালোচনা হলে ভালো।’
সিনিয়রদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন না তোলার আহ্বান জানিয়ে রিয়াদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিলে আমাদেরও গর্ব হয়। সবারই ত্যাগ থাকে। কারও ব্যথা থাকে, কারও অনেক ধরনের ইঞ্জুরি থাকে। ওগুলো নিয়েই আমরা খেলি। দিনের পর দিন পেইন কিলার খেয়েই আমরা খেলি। হয়ত অনেকেই এগুলো জানে না। এজন্য কমিটমেন্ট নিয়ে কখনও প্রশ্ন করা ঠিক না।’