খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৪ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলার লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, আ. লীগের পক্ষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের জানাবেন তারা
  নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারাহের চুক্তি
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০২২
আকুর দায় পরিশোধ

রিজার্ভ কমে দাঁড়ালো ৩২.৫৭ বিলিয়ন ডলারে

গেজেট ডেস্ক

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে দাঁড়িয়েছে। রবিবার (০৮ জানুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩২.৫৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার। এর আগে গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার।

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেনি। নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে ৪.৪১ শতাংশ। এ সময় বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১.৭৯ বিলিয়ন ডলারে। সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ৬.৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কোনো ব্যাংক যেন আমদানি দায় পরিশোধে ব্যর্থ না হয় সেজন্য গত বছর ১২.৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর প্রভাবে রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। আর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন।

এরপর থেকে করোনার প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল। করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে দর বৃদ্ধির পাশাপাশি আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৪ বিরিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

সম্প্রতি এশিয়ান ইনফ্রাচটেকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিশ্রুত ২৫ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এছাড়া নতুন বছরে আইএমএফের প্রতিশ্রুত ঋণ ছাড় শুরুর আশা করা হচ্ছে। তবে সংস্থাটি থেকে ঋণ নিতে বাংলাদেশকে কিছু সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিজার্ভের হিসাব করতে হবে। এক্ষেত্রে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৭ বিলিয়ন ডলারসহ বিভিন্ন তহবিলে দেয়া ৮.৪ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সম্মতি হয়েছে। সে বিচেনায় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রসঙ্গত, আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যেকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!