কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গত ১৪ জানুয়ারি ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে শুরু হয়েছিল ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। মাঝখানে দুই দিন বিরতি থাকায় বুধবার ছিল এই যাত্রার ১৬তম দিন।
এদিন পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার পর জানা গেল—কারা যেন বহরে থাকা রাহুলের গাড়িতে ঢিল ছুড়েছে। এতে গাড়িটির পেছনের কাচও ভেঙে গেছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিহারের কাটিহার থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঢোকার পর রাহুলের গাড়িতে হামলা হয়। ঢিল ছুড়ে রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর ওই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাহুল ৩৮ কিলোমিটার যান।
তবে রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙার বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গে ঘটেনি বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টিকে তিনি ‘অযথা নাটক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় মমতা আরও বলেন, আমি হেলিকপ্টারে আসতে আসতে একটা মেসেজ পেলাম। রাহুলের গাড়িতে নাকি কাচ ভেঙেছে। আমি খোঁজ নিলাম। আমরা এসব পছন্দ করি না। আমরা করিও না। এসব ফর নাথিং নাটক করে কী লাভ! খোঁজ নিয়ে দেখলাম, বাংলায় নয়। ওটা কাটিহারে কিষাণগঞ্জে হয়েছে। কাচ ভাঙা অবস্থায় ওরা বাংলায় ঢুকেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি ঘটনার নিন্দা করি। কারও ওপর আক্রমণ হলে আমি নিন্দা করি। বিহারে সবে বিজেপি-নিতীশ এক হয়েছে, ওদের রাগ থাকতেই পারে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কাটিহারে এই কাচ ভেঙেছে। পশ্চিমবঙ্গে নয়।
রাহুলের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি তো গাড়ির ভেতরে বসেছিলাম। কে ঢিল ছুঁড়েছে জানি না। তবে বুঝে নিন, কে ভাঙতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে ন্যায় যাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিহারের কটিহার থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মালদহে প্রবেশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাকে দেখতে কটিহার ও মালদহ দুই এলাকাতেই বিপুল মানুষের ভিড় ছিল। কাটিহারে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভাঙার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরে মালদহে বাংলা-বিহার সীমান্তে রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙেছে, এমন দাবির প্রেক্ষিতে শুরু হয় শোরগোল।
খুলনা গেজেট/এনএম