রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন এ শিল্পী। শনিবার বাদ যোহর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
এর আগে আজ শনিবার সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীরের মরদেহ।
দুপুর পৌনে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায় তার মরদেহ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনারে ফকির আলমগীরের নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘কঠোর বিধি-নিষেধের’ মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়৷ বৃষ্টির কারণে দুপুর সোয়া ১২টায় নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সেখানে রাখা হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ফকির আলমগীর শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে ফকির আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
খুলনা গেজেট/এনএম