খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়া। রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সেদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও শহীদ হন নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন ৫ শতাধিক নেতাকর্মী। এ হামলা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় ও দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এখনও মাঝে মাঝে তাদের শরীরে থাকা স্পিøন্টারের অসহ্য যন্ত্রণা তাদের ভোগায়। তিনি আরো বলেন, ঘাতক চক্রের লক্ষ ছিল বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মাহফুজুর রহমান সোহাগের পরিচালনায় যুব সমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, মো. কামরুজ্জামান জামাল, হোসেনে আরা চম্পা, মানিকুজ্জামান অশোক, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এবিএম কামরুজ্জামান, অনুপম বিশ্বাস, গোবিন্দ ঘোষ, শহীদুল্লাহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম রাজু, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/কেডি