খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ২ বছরে নিহত প্রায় ১১ হাজার বেসামরিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ১০ হাজার ৭০৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৫৯৪ জন শিশু।

শুক্রবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী প্রধান মোহাম্মদ খালেদ খায়ের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বেসামরিক লোকজন-অবকাঠামোর ওপর যে কোনো হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের হামলা নিষিদ্ধ। ইউক্রেন এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বেসামরিকদের ওপর যেসব হামলা হচ্ছে, সেগুলো একদমই অগ্রহণযাগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।’

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা ডোটেন ও উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে। তিনি জানান, ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব অঞ্চলে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার দখলকৃত দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়ার অন্তত ১৫ লাখ মানুষের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানকার রুশ প্রশাসনের বাধার কারণে জাতিসংঘের ত্রাণ এসব অঞ্চলে পৌঁছাতে পারছে না।

২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতির প্রদান না করা, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবির— প্রভৃতি নানা ইস্যুতে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২০২৪ সালে দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সময়সীমার মধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজ্জিয়া— চারটি প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ।

এই দুই বছরে বেশ কয়েক বার এই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকে, সেক্ষেত্রে রুশ বাহিনীও অভিযান বন্ধ করবে।

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বছর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ঘোষণা করেছন, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন যতদিন ক্ষমতাসীন থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত রুশ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না কিয়েভ।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!