সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইউক্রেন ১৯৯১ সালে ছিল পারমাণবিক অস্ত্রে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিধর দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরেই ছিল ইউক্রেনের অবস্থান। ইউক্রেনের হাতে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে ভাগে পাওয়া তিন হাজার পারমাণবিক অস্ত্র।
রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে লিখিত নিশ্চয়তা পেয়ে ১৯৯৪ সালে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিরোধক চুক্তিতে সই করেছিল ইউক্রেন। তারা তাদের তিন হাজার পরমাণু অস্ত্র রাশিয়াকে ফেরত দিয়েছিল। কিন্তু সেই নিশ্চয়তা আজ ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তাই দিতে পারছে না। অন্যের আশ্বাসে নিজস্ব শক্তিকে বিসর্জন দেয়ার পরিণাম আজ নির্দোষ ইউক্রেন ভোগ করছে।
তবে ভূরাজনীতির একজন ক্ষুদ্র পর্যবেক্ষক হিসেবে আমার অনুমান, বলদর্পী রুশ একনায়ক পুটিনের স্বেচ্ছাচারী সামরিক আগ্রাসনে ইউক্রেন আজ বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও দিনান্তে রাশিয়াকে চড়া মাশুল দিতে হবে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দাবার তুখোড় খেলোয়াড়েরা পুতিনকে ইউক্রেনের ফাঁদে এনে আটকে ফেলছে বলেই আমার ধারণা। পুতিনের এই স্বেচ্চাচারী দম্ভের পরিনতিতে আগামীতে রুশ ফেডারেশনকে ভুগতে হবে ভয়ঙ্করভাবে। তাদের আম ও ছালা সব যাবে। কেবল অর্থনৈতিক ও সামরিক বিপর্যয় নয়, আগামীতে রুশ সাম্রাজ্যের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও বিপন্ন হবে।◾ ফেসবুক ওয়াল থেকে।
খুলনা গেজেট/এনএম