করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা মারা যান।
এদের মধ্যে পাঁচজন করোনায় এবং আটজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলায়। অন্যজন নাটোরের বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয়জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ২৫ ও ৩৯/৪০ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন পাঁচজন। এরা সবাই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও আটজন। এদের মধ্যে সাতজন রাজশাহীর এবং একজন নাটোর জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৯৩ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৮৪ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৪৭ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৬২ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ জন। এই এক দিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ৬১ জন।
এদিকে সোমবার (২১ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ২৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৫০ ও রামেক ল্যাবে ১০২ জনের নুমানায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই