করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১০ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই দশজন মারা যান।
এদের মধ্যে তিনজন করোনায়, ছয়জন করোনার উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনামুক্ত হয়ে মারা গেছেন। এই দশজনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। অন্য পাঁচজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন দুজন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ১৬, ২২, ২৫, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেবিনে।
এই একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন তিনজন। এই তিনজনই করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং দুজন রাজশাহীর বাসিন্দা। করোনা মুক্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র রোগীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭১ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬০ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৩৪ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। এই একদিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ১৮ জন।
শুক্রবার (১৮ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৭ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৫০ ও রামেক ল্যাবে ১৪২ জনের নুমানায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে নওগাঁয় সবেচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩০ দশমিক ০৫ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।