অবশেষে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৯ হাজার মেট্রিকটন কয়লা পৌছেছে। শনিবার (১৩ মে) রাতে তিনটি লাইটার জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়লাগুলো এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আনা হয়। এর আগে গত ৯ মে ৪৯ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে চট্রগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’।
এর আগে ২৫ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
রবিবার (১৪ মে) বিকেলে ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিষ্টিক লি: খুলনার সহকারি ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ১৯ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লার মধ্যে ৯ হাজার মেট্রিকটন কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা সোমবার (১৫ মে) মোংলার বঙ্গবন্ধু-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আনা হবে। এরপর ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজে থাকা ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আনা হবে মোংলা বন্দরে।
এদিকে কিছুতেই ঘুরে দাড়াতে না পারায় গত চার মাসে তিনবার বন্ধ হয় রামপালের এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে এসময় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি কেন্দ্রটি। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রামপালের বিদ্যুৎ পিডিবিকে কিনতে হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রেটি বন্ধ থাকলেও পিডিবিকে কেন্দ্রের সক্ষমতা ব্যয় পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টানারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ ব্যবস্থাপাক আনোয়ারুল আজিম বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৯ হাজার মেট্রিকটন কয়লা এসেছে। তবে এখনই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাব না, আগামী ১৬ মে মোংলা বন্দরে ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আসার পরই দ্রুত সম্ভব রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম