মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন তিনটি সরকারি খাস খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাব্যতা হারানো খালগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশেষ বরাদ্দে পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করলেও প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করে আসছেন। এতে মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা সংকটের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি সরকারি খাস খাল প্রভাবশালীরা দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। খালগুলো হলো সাতপুকুরিয়ার পাঁজাখোলার খাল, আড়ুয়াডাঙ্গার ইয়াছিন খাল ও আদুর খাল। খালগুলো মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন হওয়ায় এবং চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ায় বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সাতপুকুরিয়া গ্রামের তৈয়ব মাঝির ছেলে আনিস মাঝি, আরশাদ আলীর ছেলে নজরুল মাঝি, রাজেন মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল, হাকিম শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, হাসেম আলী ফকিরের ছেলে আফতাব ফকির, মোস্তফা মোসাল্লির ছেলে রফিকুল মোসাল্লি, রহিম পিয়াদার ছেলে আলাউদ্দিন পেয়াদাসহ ২০/২৫ জন সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন।
অভিযোগকারী মো. গিয়াসউদ্দিন ও রীনা বেগম দাবী করেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দে খালগুলো খনন করা হয়। সেই খাল দখল করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। খালগুলো উম্মুক্ত করা হলে মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। এলাকার পরিবেশ ঠিক থাকবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সদস্য মোল্লা আ. সবুর জানান, সুন্দরবন, মোংলা বন্দর ও এ এলাকার পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থা খালগুলো খনন করে। খালগুলো বেদখল হওয়ায় চ্যানেলের পানির প্রবাহ কমে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই আশা করছেন ওই পরিবেশবাদী নেতা।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আনিস মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি খালে মাছ চাষের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে মাছ চাষ করছি, অভিযোগ হলে মাছ চাষ করবো না।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে তহশিলদার পাঠিয়ে তদন্ত করে দ্রুত খালগুলো উম্মুক্ত করা হবে। কেউ সরকারি রাস্তা কেটে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ