খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক আটক
  সচিবালয়ের আগুন সোয়া ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস

রামপালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ কোটি টাকার ক্ষতি, ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী আহত

রামপাল প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপালে দুইটি পৃথক অগ্নিকান্ডে ৩ টি বসতবাড়ি, ১০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১ টি মুরগির ফার্ম পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। রবিবার (৪ জুন) রাত ১১ টার সময় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের গোনা বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পূর্বেই দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের নগদ টাকাসহ অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই সময় আগুন নেভাতে গিয়ে তিন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন রামপাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ফায়ার ফাইটার ইসাবুল মোল্লা (৩৫), টুটুল সরকার (২৫) ও আব্দুল কাদের জনি (২৪)।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলোর মধ্যে ইলেকট্রনিক্সের দোকান, হার্ডওয়ার, কম্পিউটার, মুদি, গুদাম ঘর ও চায়ের দোকান রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক উত্তম বৈরাগী ও প্রদীপ রায় বলেন, রাতে এবাদুল হকের ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ১০ টি দোকান পুড়ে যায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। শুধু আমার দোকানেরই এক কোটি টাকার বেশি পণ্য পুড়ে গেছে। তারা এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য সরকারের সহায়তার দাবি জানান।

অন্যদিকে একই রাতে সাড়ে ৮ টায় একই উপজেলার প্রসাদনগর গ্রামের রেজাউলের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে ৩ টি বসতঘর ও একটি পোল্টি খামার ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে তার ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন বাগেরহাটের উপ-সহকারি পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, দুইটি স্হানে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। আগুন নেভানোর সময় তেলের ড্রামের গরম তেল ছিটে তিন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের চেষ্টা করছি।

মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি নিরূপণ করে সহায়তার ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!