খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১১০৮
  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
  বুধবার থেকে ডিমের নতুন দাম কার্যকর হবে : ভোক্তা ডিজি
  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা
  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ; পাশের হার ৭৭.৭৮

রামপালে প্রাথমিকে ৩৬ প্রধান শিক্ষক পদে কেউ নেই

মেহেদী হাসান, রামপাল

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ১২৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১৬৯ টি পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ টিতে প্রধান শিক্ষক, ৬৫ টিতে সহকারী শিক্ষক ও প্রাক প্রাথমিকের সৃজনকৃত ৬৭ টি পদের বিপরীতে এই পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। এ ছাড়াও সুমা রানী পাল নামের এক সহকারী শিক্ষিকা অননুমোদিত ছুটি ছাড়া গত ইংরেজি ০৪-০৭-২০১৮ সাল থেকে নিরুদ্দেশ রয়েছেন।

রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, অবসর জনিত কারণে ৩৬ জন প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। প্রতি মাসেই ২/১ জন শিক্ষক অবসর নিচ্ছেন। এ ছাড়াও কয়েকজন শিক্ষক মৃত্যুবরণও করেছেন।

উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মোট ৪৯ টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে চালাচালি হলেও দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হচ্ছে না। শতকরা ৬৫ ভাগ প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে পদোন্নতি দেয়ার কথা থাকলেও সেটি ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়াও সরাসরি শতকরা ৩৫ ভাগ সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ দানের বিষয়টিও ঝুলে আছে দীর্ঘ দিন।

উপজেলার প্রাক প্রাথমিকে ৬৭ টি পদ সৃজন করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান করেননি। এ উপজেলায় ৬৭ টি বেসরকারি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকের কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। কোন কোন বিদ্যালয়ে বদলি হওয়া কিছু শিক্ষক প্রাক প্রাথমিকের শিশুদের পাঠ দান করে আসছেন। অন্য বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দ্বারা পাঠদান করানো হচ্ছে। সরকারের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা একটি শুভ উদ্যোগ। এটা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শুধুমাত্র প্রাকের উপযোগী শিক্ষক না থাকায়।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, শিশুদের পাঠদান বা মানসিক বিকাশ শুরু হয় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা থেকে। এটাকে যুগোপযোগী করতে হলে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিতে হবে প্রাক প্রাথমিকে। এছাড়াও অনেকগুলো প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ বন্ধ থাকায় সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এতে শিক্ষার মানে ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানের দাবি করেন এই নেতা।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, নতুন করে সরকার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। সকল শূন্য পদের বিপরীতে জনবল চেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাক প্রাথমিকের শূন্য পদের বিপরীতে জনবল নিয়োগ খুবই জরুরী। কারণ এখন থেকে মূলত শিশুদের মেধা বিকাশ শুরু হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এ জন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!