রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী নার্স (পুরুষ ব্রাদার) শেখ ইলিয়াস কবির (৫৫) ‘র আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহারিমা খাতুনের দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় সহকারী নার্স (ব্রাদার) ইলিয়াস কবিরকে তার স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নিহত ইলিয়াস কবির শান্ত স্বভাবের ও হাসিখুশী মানুষ ছিলেন। হটাৎ করে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন সেটি স্পষ্ট নয়। তবে পু্লিশ প্রাথমিকভাবে নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সাথে কারো কোন অনৈতিক সম্পর্ক আছে কি না, হটাৎ করে নিহত ইলিয়াস ব্যাংক থেকে বেশ কিছু টাকা তুলেছেন, স্বজনরা নিহত ইলিয়াস কবির কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছে সেটি গোপন করার কারণ এবং পাশাপাশি অন্য কোন সমস্যা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) রাত পৌনে ১ টায় বৃদ্ধ সন্তোষ কুমার মন্ডল (৬৪) শারীরিক যন্ত্রনা সইতে না পেরে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ও মৃতের পুত্র রামপাল থানায় বুধবার (২৩ আগষ্ট) সকালে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
মৃত সন্তোষ উপজেলার ছোট সন্নাসী গ্রামের মৃত শরৎ মন্ডলের পুত্র। এজাহারে পুত্র সুমন মন্ডল উল্লেখ করে, তার বাবা দীর্ঘ দি অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়ীতে রাখা বিষ পান করে সে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাক্তার সুকান্ত কুমার পাল বলেন, আত্মহত্যা না কি অন্য কোন কারণে ষ্টাফ ইলিয়াস কবির মারা গেছেন বুঝতে পারছি না, তবে পু্লিশ তদন্ত করলে বা ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম জানান, পৃথক দুইটি ঘটনায় দুইজন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে দুই জনের লাশ বাগেরহাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে এবং পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ