খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ

রামপালে তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও আমন চাষে ব্যস্ত চাষীরা

রামপাল প্রতিনিধি

রামপালে আমন চাষীরা চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তীব্র লবণাক্ততার মধ্যে আগাম বৃষ্টি ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় চাষীরা বীজতলা থেকে চারা তুলে মাঠে রোপণ করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে কৃষকেরা কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন।

রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হচ্ছে। গত বছর (২০২১-২২) আবহাওয়া অনুকূল না থাকায়, বৃষ্টি খুব কম হওয়ায় এবং জমিতে লবণের মাত্রা বেশি থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ওই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর। কিন্তু রোপণ হয়েছিল ৭ হাজার ৮৩৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১২ হেক্টর জমির চাষাবাদ কমে যায়। তার আগের বছরে (২০২০-২১) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২০০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছিল ৮ হাজার ২২০ হেক্টর।

চলতি আমন রোপণে খরিপ -২ এর ২০২৩-২৪ সালের ব্লকওয়ারী রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রীড ৬০ হেক্টর, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় জাতের ৯০ হেক্টরসহ মোট আবাদ হচ্ছে ৫১০ হেক্টর। উজলকুড় ইউনিয়নে হাইব্রীড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয়সহ মোট ৪৪০ হেক্টর। বাইনতলায় হাইব্রীড ১১০, উফশী ৬৬০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৯১০ হেক্টর। রামপাল সদরে হাইব্রীড ৮০, উফশী ৪৮০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭০০ হেক্টর। রাজনগরে হাইব্রীড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয় ৮০ সহ মোট ৪৩০ হেক্টর। হুড়কায় হাইব্রীড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭৭০ হেক্টর। পেড়িখালীতে হাইব্রীড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৫০ সহ মোট ৭৮০ হেক্টর। ভোজপাতিয়ায় হাইব্রীড ৪০, উফশী ২৪০ ও স্থানীয় ৭০ সহ মোট ৩৫০ হেক্টর। মল্লিকেরবেড়ে হাইব্রীড ৩৭০, উফশী ২ হাজার ২২০, স্থানীয় ৪১০ সহ মোট ৩ হাজার হেক্টর। বাশতলীতে হাইব্রীড ৬০, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় ৯০ সহ মোট ৫১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে।

উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে হাইব্রীড ১ হাজার, উফশী ৬ হাজার ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪০০ হেক্টর সহ মোট ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিরও বেশি আমন আবাদের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আরও কিছু বৃষ্টি হলে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আশানুরূপ ফলন মিলবে। সরকারিভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পাওয়ার টিলার, রোপণ যন্ত্র, বীজ সারসহ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ চাষীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!