বাগেরহাটের রামপালে নানা কারণে জমে উঠেনি পশুর হাট। মোবাইল ফেসবুকে কুরবানির পশুর ছবিসহ বিজ্ঞাপন, বাড়িতে গিয়ে পশু কেনাকাটা ও হাট বাজারে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্যের কারণে এবার অনেকটা ক্রেতা শূন্য পশুর হাট-বাজার।
রামপাল উপজেলার বড় পশুর হাট ফয়লাহাট। এছাড়াও উপজেলার গিলাতলাসহ কিছু কিছু বাজারে সীমিত আকারে কিছু পশু বেচাকেনা হয়ে থাকে। ফায়লাহাট ঘুরে ক্রেতা ও ইজারাদারদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তারা জানান, এ বছর হাটের ডাক বেশী। ক্রেতা উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও সেই তুলনায় বেচা বিক্রি খুবই কম। আর একদিন পরই কুরবানী। শেষ দিনে হয়তো কিছু পশু কেনাকাটা হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন ফয়লাহাট বণিক সমিতির সভাপতি হাওলাদার আ. সালাম।
প্রতি বছর কুরবানী করেন এমন ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, হাটে পশুর দামের সাথে ইজারাদারদের শুল্কের সমন্বয় নেই। অধিক শুল্কের কারণে এবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষ পশুর দরদাম করে পশু কিনছেন। এতে সময় ও দামে সাশ্রয় হচ্ছে। তবে দাম বেশী হাকা হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে।
রামপাল সদরের পশু খামারী সজীব অধিকারী জানান, এ বছর হঠাৎ করে পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এক একটি পশু প্রস্তুত করতে অনেক খরচ পড়ে গেছে। সেই তুলনায় দাম পাচ্ছি না।
রামপাল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ বছর রামপালে কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার ৮২৫ টি। প্রস্তুত রয়েছে ৫ হাজার ৭২০ টি। এর মধ্যে ষাড় ১ হাজার ৭৫৬ টি। বলদ ৪৫২ টি। মহিষ ২১১ টি। ছাগল ১ হাজার ৭৬৮ টি ও ভেড়া ৪৭৮ টি। ক্রেতাদের সুবিধার্থে হাট বাজার গুলোতে ৩ টি মেডিকেল টিম পর্যায়ক্রমে কাজ করছেন।