রামপালে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যাবস্হাপক ও মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার বেলা ১১ টায় (২৮ মে) রামপাল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সস্মেলনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক রামপাল শাখার সাবেক ব্যাবস্হাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মাঠ কর্মী তামজিদ মোল্লা ৭/৮ মাস পূর্বে পেড়িখালী ইউনিয়নের সিকিরডাঙ্গা গ্রামের গ্রাহক আকলিমা বেগম, দুলালী বেগম, মুনজিরা বেগম, আন্জুয়ারা বেগম ও সুফিয়া বেগমের নামে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমান টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা আরও জানান, এ ঘটনায় সাবেক মাঠ কর্মী তামজিদ মোল্লা কে সহযোগীতা করেছেন সাবেক শাখা ব্যাবস্হাপক মোস্তাফিজুর রহমান। নতুন ব্যাবস্হাপক রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পরে ঋণ গ্রহিতাদের কাছে কিস্তির টাকার জন্য ৭/৮ মাস পরে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ দাবি করেন তারা পূর্বের ঋণ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু নতুন করে তো কোন ঋণ নেননি। এর পরেও কি করে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করা হলো সেটি তারা বুঝতে পারছেন না। তারা আরও দাবি করেন, নতুন পাশ বই তৈরি করে ছবি ও স্বাক্ষর ছাড়া ওই বিপুল পরিমান টাকা উত্তোলন করেছেন। নতুন পাশ বইতে আবার কিস্তির টাকা আদায়ও দেখিয়েছেন। এছাড়াও নতুন ব্যাবস্হাপক রফিকু্ল ইসলাম তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বক্ষর নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন কালে ভুক্তভোগী পাচঁ গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাবেক শাখা ব্যাবস্হাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার সময়ে কোন অনিয়ম হয়নি। নতুন শাথা ব্যাবস্হাপক রফিকু্ল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে কোন অনিয়ম হয়নি। অভিযুক্ত তামজিদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অডিট করানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড