লঘুুচাপের কারণে টানা ৩ দিনের অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। মনুুুষের চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজলকুড় ইউনিয়ন, রাজানগর ইউনিয়ন, রামপাল সদরের শ্রী কলস, ভূইয়ারকান্দর, বাশতলী, বাইনতলা, মল্লিকেরবেড়, ভোজপাতিয়াসহ বেশ কিছু এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু মাছের ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, আমরা ক্ষেত্র সহকারী ও লীফদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য তথ্য চেয়েছি। মাঠ পর্যায়ে মৎস্য ঘের ও পুকুর পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের চেষ্টা চলেছে।
আমন ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ফলন্ত ধানের পরাগায়ন মূহুর্তে অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বড়দিয়া গ্রামের কৃষক মোন্তজ মোল্লা জানান, ধান ফলে গেছে এমন সময় বৃষ্টি ও ঝড়ে বেশ ক্ষতি হয়েছে। অনেক ধান চিটা হওয়ার আশংকা করছেন তিনি।
এ ব্যাপার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য মাঠ পর্যায়ের উপর সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে। জলাবদ্ধতা না হলে সবজির ক্ষতি হবে না, তবে আমনের কোন ক্ষতি হয়েছে কি না তা ও দেখা হচ্ছে।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে বেশ ভোগান্তিতে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেতমজুররা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/ এস আই