বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ভোটের দিনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার শঙ্কা রয়েছে। এই শঙ্কাসহ মারধরের অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে রাজনগর ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বদরুল হুদা হিরু বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, মোঃ আজিজাল ফকির, এনামুল হাওলাদার, আব্দুর রউফসহ এস এম বদরুল হুদা হিরুর কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম বদরুল হুদা হিরু বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে প্রথম থেকে কিছু প্রভাবশালী লোক নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। চাপ প্রয়োগ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা, ২৬ অক্টোবর নির্বাচনী প্রচারের সময় আমার ছেলে যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন লিমন, কর্মী অমিত ও ইমরানসহ কয়েকজনের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোক হানিফ, পালাশ, মিঠুসহ বহিরাগতরা। গেল দুই তিনদিন থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। ভোটের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে তারা।
সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভোটের দিন এলাকায় বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনাও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু দৃস্কৃতিকারীদের। বহিরাগতদের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার যে নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য বহিরাগতদের প্রতিহত করা প্রয়োজন। আমরা প্রত্যাশা করি নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন বহিরাগত ও দুস্কৃতকারীদের এই নীল নকশা বানচাল করে ভোট প্রদানের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনগর ইউনিয়নের জন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালনের ঐতিহ্য রয়েছে আমার পরিবারের। আমার পরিবারের একাধিক সদস্য রাজ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের পরিবারের উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। আমার বিশ্বাস ২ নভেম্বর নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে সকল ভোটাররা আমাকে ভোট প্রদান করবেন।
২ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার রাজনগর ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খাউলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের সুলতানা পারভীন, স্বতন্ত্র মিজানুর রহমান শেখ, শেখ আমিনুর রহমান ও এস এম বদরুল হুদা হিরু প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ইউনিয়নে ৯ হাজার ৯৪৩ জন ভোটার রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম