রানি এলিজাবেথের কফিন উইন্ডসর প্রাসাদের সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলের রাজকীয় সমাধিকক্ষে নামানো হয়েছে। সেখানেই আজ তাকে সমাহিত করা হয়। রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী রানিকে সমাহিত করার আগে সেন্ট জর্জ চ্যাপেল থেকে বিদায় নেন পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের সময় তার কফিনের উপর থেকে রাজমুকুট এবং রাজদণ্ড সরিয়ে নেয়া হয়।
রানির কফিন যখন লন্ডনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে উইন্ডসরে নেয়া হচ্ছিল, তখন রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
লন্ডনে দীর্ঘ শোক মিছিলে অংশ নিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর তিন হাজার সদস্য, এবং এটি লন্ডনের অনেক বিখ্যাত স্থাপনার পাশ দিয়ে গেছে।
এর আগে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয়, যেখানেই রানির বিয়ে এবং অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছিল।
কয়েকশ রাষ্ট্রনেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্র। ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে উইন্ডসর ক্যাসেলের সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে রানির জন্য প্রার্থনা শুরু হয়। সেখানে আশীর্বাদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি। এই অনুষ্ঠানে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবির অনুষ্ঠানে ছিলেন না। রানির অনেক বর্তমান এবং সাবেক স্টাফ এই প্রার্থনায় যোগ দেন।
আজকের সারাদিনের আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি টানা হয় এই সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলেই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রানিকে সমাহিত করা হয় তার প্রয়াত স্বামী ডিউক অব এডিনবরার পাশে।
তার আগে ওয়েলিংটন আর্চ থেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে উইন্ডসর ক্যাসেলে পৌঁছেছে রানির কফিন। এরপর সেখান থেকে নেওয়া হয়েছে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে। এই অনুষ্ঠানিকতায় কেবল রাজপরিবারের সদস্য, রানির ব্যক্তিগত স্টাফ এবং আমন্ত্রিতরাই শুধু যোগ দিয়েছেন।