পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা সন্ত্রাসী। আমরা ‘সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতার করছি।
দোহা সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার পরিস্থিতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো বিরোধী দলকে হয়রানি করছি না, নির্যাতন করছি না। যারা ‘সন্ত্রাসী’, যারা মানুষের বাড়িঘর জ্বালায়, জনগণের সম্পত্তি; বিশেষ করে বাস, ট্রেন, ট্রাক জ্বালায়…। যারা মানুষকে মারছে তাদের আমরা শাস্তির আওতায় নিচ্ছি। আমরা কোনো রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। আমরা যাদের গ্রেফতার করছি তারা ‘সন্ত্রাসী’।
মোমেন বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা আহ্বান করব- যারা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম করছেন, সেটা পরিহার করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন।
বিবৃতিতে যাদের ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে, সেটা তো বিরোধী দলকে বোঝানো হচ্ছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, তাদের আমি সন্ত্রাসী বলছি। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে- যাদের আমরা ধরেছি, তাদের সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়েছি বলেই ধরেছি। আমরা রাজনৈতিক নেতাদেরকে হয়রানি করছি না।’
বিবৃতিতে মানবাধিকার ইস্যুতে উদ্বেগ জানানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে দ্বিমত পোষণ করেন মোমেন। তিনি বলেন, আমি প্রতিবেদন দেখিনি। মানবাধিকারে বাংলাদেশ আদর্শ। আপনি অন্য দেশের সঙ্গে যদি তুলনা করেন, আমরা একটা আদর্শ দেশ। গাজায় কী ধরনের মানবাধিকার হচ্ছে? এমনকি অন্য উন্নত দেশেও লোকজন ক্লাবে-স্কুলে মেরে ফেলে। আমাদের এখানে বিনা বিচারে কাউকে মারে না। আমাদের কাছ থেকে মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া দরকার অন্যদের।
খুলনা গেজেট/কেডি