খুলনায় রহিমা বেগম অপরহরণের ঘটনায় পিবিআইয়ের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে নারাজি আবেদন করেছেন বাদী আদুরী বেগম। রোবরাবর খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে তিনি এ আবেদন করে। আবেদন শুনানির জন্য আদালত আগামী ৮ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন পারভীন জলি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য এ আদালতে এসেছে। আজ এ মামলার কর্মদিবস ছিল। মামলার বাদী রহিমা খাতুনের মেয়ে আদুরী বেগম পিবিআইয়ের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন। আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম সেটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য আগামি ৮ মে নির্ধারণ করেছেন। মামলার আসামিরা পূর্ব থেকেই জামিনে ছিলেন। আজ আদালতে উপস্থিত হলে আসামিদের জামিন প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদী আদুরী বেগম খুলনা গেজেটকে বলেন, ১৬ এপ্রিল আদালতে গিয়েছিলাম। আদালতে যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সেটি আমাদের মনোভুত না হওয়ায় আইনজীবীর মাধ্যমে নারাজি আবেদন জানিয়েছি আদালতে।
উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট রাত ১০ টায় নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপড়ার বাসার উঠানের নলকূপ থেকে পানি আনতে গিয়ে অপরহণ হন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা খাতুন। এরপর থেকে টক অব দ্যা ক্যান্ট্রিতে পরিনত হয় এ অপহরণের নাটক। অবশেষে এ নাটকের অবসান করে পুলিশ। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জনৈক কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর আদালতে তিনি জবানবন্দি প্রদান করেন। তারপর তাকে মেয়ে আদুরীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্ম ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগর মেট্রোপলিটন আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। এর আগে পিবিআই কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, তদন্তে মরিয়ম মান্নানের মায়ের অপহরণের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশীকে ফাসাতে গিয়ে এ নাটকের প্রমাণ মিলেছে।
খুলনা গেজেট/এমএম