খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৫৪
  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

রহস্যভেদ হয়নি জামান জুট মিলে অগ্নিকান্ডের, ছিল না ফায়ার সেফটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার দিঘলিয়ার জামান জুট মিলে অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়নি। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় লাগা আগুন কিভাবে লেগেছে তা কেউ জানাতে পারেননি। তবে অগ্নিকান্ডের ফলে মিলের যান্ত্রাংশ ও মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছে মিলের শ্রমিকরা। মিলটিতে ছিল না ফায়ার সেফটি প্লান ও ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ছিল না জানালেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।

জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট ফেরিঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জামান জুট মিলে প্রায় ৭৫০ শ্রমিক কাজ করতো। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মিলটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে শেষ হয়ে যায় মিলে থাকা সূতা, প্রসেসিং এবং কাঁচা পাটসহ মিলের মূল্যবান যন্ত্রাংশ।

খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার খুলনা গেজেটকে বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে খুলনার চারটি ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত ১১ টা ২৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে শুরু হয় ড্যাম্পিংডাউনের কাজ। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন করা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিবে। তদন্ত করলেও সবকিছু জানা যাবে।

তিনি বলেন, তিন মাস আগে সেফটি প্লান বাস্তবায়নের জন্য মিল মালিককে নোটিশ করা হয়। কিন্তু সেটি করেননি। নির্বাচনের পর অভিযান পরিচালনার কথা ছিল। তবে তার আগেই আগুন লেগেছে। সেফটি প্লান থাকলে আগুন সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো। কিন্তু তিনি এগুলো করেননি।

মিলের কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ রিপন মোল্লা খুলনা গেজেটকে বলেন, ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার পর মিলটিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার সূত্রপাত আমরা নিজেরাই এখনো আবিষ্কার করতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষও আগুন লাগার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। আগুন লাগার সময় মিলটি বন্ধ ছিল। বিদ্যুতের সকল সুইচ অফ করা ছিল। চারিদিক থেকে আগুন একসঙ্গে লাগে।

তিনি বলেন, মিলটিতে মজুদকৃত ভারতে রপ্তানিযোগ্য ৮০ টন সূতা সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রপ্তানি করার কথা ছিলো। কিন্তু বড় দিনের বন্ধ থাকায় পরেরদিন ২৬ ডিসেম্বর রপ্তানি সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও মিলটিতে প্রায় দেড়শ টন কাঁচা পাট মজুদ ছিল। বিদেশে রপ্তানীযোগ্য এক টন সুতার মূল্য ১ টা ৯৫ হাজার টাকা, আরেকটা ১ টন ৬০ হাজার টাকা। ১ টন কাঁচা পাটের বর্তমান মূল্য ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ইতিমধ্যে আমাদের রপ্তানি বাতিল হয়ে গেছে। আগুনে সবমিলিয়ে প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করেন তিনি।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মিলটির ৭৫০ জন শ্রমিক বেকার হয়ে গেল। তাদের রুটি রুজির উপর আঘাত পড়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!