ইফতার মাহফিল নেই। তবুও কলার চাহিদা কমেনি। বড়বাজারের মহেন্দ্র দাসের মোড় থেকে কলা এনে ব্যবসায়ীরা ফুটপাতের দোকান দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে টিএন্ডটির মোড় পর্যন্ত একাধিক দোকান। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে গড়ে এক হাজার পিস কলা বিক্রয় হচ্ছে। এর মধ্যে শবরী কলার চাহিদা-ই বেশি।
কলা আসছে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলা থেকে। আসছে দেশী সাগর, জিন, শবরী, চাপা, কাঁঠালি ও কাবলি জাতের কলা। বড়বাজারের পাইকারি বাজার থেকে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা কলা কিনে আনছে। লোয়ার যশোর রোড়ের ফুটপাতে এসব দোকান চালু থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সরকারের বেধে দেওয়া সময়সূচি মানছে। তবে মাস্কের ব্যবহার নেই যথারীতি।
এ ফুটপাতের দোকানদার রূপসা উপজেলার রাজাপুরে মোঃ হাসান। বড়বাজারের পাইকারি আড়ৎ থেকে এসব নামের কলা কিনে আনেন। পাকা কলার সুমিষ্ট ঘ্রাণ যেকোন ক্রেতাকে আকর্ষণ করছে।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী মোঃ হাসান এ প্রতিবেদককে জানান, ইফতার মাহফিল বা কোন অনুষ্ঠান না হলেও কলার চাহিদা কমেনি। বড়বাজার থেকে নানা জাতের কলা এনে ফুটপাতে বিক্রি করি। প্রতিদিন ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা লাভ থাকে।
কলা ব্যবসায়ী মোঃ এনামুল বলেন, নানা জাতের কলা বিক্রি করছি যার মধ্যে শবরী কলার চাহিদা একটু বেশি। তিনি আরও বলেন, প্রতি ডজন দেশী সাগর ১শ’ ২০ টাকা, জিন ৯০, শবরী ১শ’, চাপা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকালে এক হাজার পিস কলা কিনে আনি। সবটাই বিক্রি হয়ে যায়। কলার খোসা ছাগল-গরুর খামারিরা নিয়ে যায়। তাদেরও খামারের চাহিদা মেটে। ফুটপাত ফাঁকা থাকায় ক্রেতারা মোটরসাইকেল ও রিকশাযোগে এসে সহজে কিনে নিয়ে যায়। ট্রেডলাইসেন্স ও বিদ্যুৎ খরচ নেই বলে ফলে সবটাই লাভ।
পুষ্টিবিদদের মতে, কলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। এক গবেষণায় বলা হয়, কলা নারীর ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধান, দেহে শক্তি জোগায়, কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড, যেটি মানসিক চাপ রোধক হিসেবে কাজ করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, রক্তের শর্করার সামঞ্জস্য বজায় রাখে, পাকস্থলির আলসার রোধে কাজ করে, কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
খুলনা গেজেট/এনএম