খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বাংলাদেশের মতো তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে, আর্থিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহবান: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ড. ইউনূস
  সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ

ফের চালু হচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

গেজেট ডেস্ক

প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল শনিবার (২৪ জুন) দিনগত রাতে পুনরায় চালু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। কয়লা আসায় পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আবার উৎপাদনে ফিরছে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে ছাড়ার ১০ দিন পরে কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে পৌঁছেছে দেশটির জাহাজ এম ভি আথেনা। কয়লা না থাকায় চলতি মাসের শুরুতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

আজ শুক্রবার (২৩ জুন) জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। আগামী রোববার থেকে কেন্দ্রটির আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট মিলে উৎপাদনের সক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লা না থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন গত ৫ জুন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকটের কারণে বিল বকেয়া থাকায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে দ্রুত কয়লা আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বিসিপিসি সূত্র জানায়, ৪০ হাজার টন কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজটি আজই (শুক্রবার) এসেছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কয়লা নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিন বছর আগে উৎপাদনে আসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারপর থেকে এবারই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেড়ে যায় লোডশেডিং। এর আগে ডলার সংকটে কয়লা কিনতে না পেরে দুই দফায় বন্ধ হয়েছিল বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন উৎপাদনে রয়েছে।

বিসিপিসি জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দিনে গড়ে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। কয়লা না থাকায় গত ২৫ মে কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়। এরপর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি ইউনিট থেকে দিনে ৩০০ থেকে ৬২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। এভাবে ২ জুন পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। তবে, উৎপাদন কমিয়ে দুই দিন বাড়তি চালানো হয়। ৫ জুন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন।

বিসিপিসি জানায়, ডলার সংকটে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের কয়লা বিল বকেয়া পড়ে। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পরে বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করলে আবারও কয়লা সরবরাহ শুরু করতে প্রতিষ্ঠানটিকে রাজি হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!