বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও জাসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্বগুণ নজর কেড়েছিল সমালোচকদের। রোহিত শর্মা নেই, তবে ভারতকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন অধিনায়ক বুমরাহ। আবার ৫ম টেস্টে পিঠের ইনজুরির আগে পর্যন্ত মাঠে বুমরাহ ছিলেন রীতিমত অপ্রতিরোধ্য।
রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর তাই বুমরাহকেই মনে করা হচ্ছিল পরের অধিনায়ক। এই নিয়ে বেশ আশাবাদীও ছিল ভারত। কিন্তু অনেকটা নাটকীয়ভাবেই নতুন অধিনায়ক করা হয় শুভমান গিলকে। ২৫ বছর বয়েসী গিলকে আগামীদিনের ভারতের বড় তারকাই মনে করা হচ্ছে। আর সেখানেই আস্থা রেখেছে ভারত।
কিন্তু গিলের হাতে নেতৃত্বের ভার যাওয়ার আগেই আলাপ হয়েছিল বুমরাহকে নিয়ে। স্কাই স্পোর্টসে সাবেক ভারতীয় ব্যাটার এবং ধারাভাষ্যকার দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে আলাপে সেটাই জানালেন সময়ের অন্যতম সেরা এই পেসার। যদিও নিজ থেকেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ।
কেন অধিনায়ক হতে চাননি, এমন প্রশ্নের উত্তরে বুমরাহ জানালেন কেবল ওয়ার্কলোড বিবেচনা করেই ম্যান ইন ব্লুদের অধিনায়ক হননি তিনি। বুমরাহর ভাষ্য, ‘আইপিএল চলাকালীন আমি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, পাঁচ টেস্টের সিরিজে আমার ওয়ার্কলোড নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমার চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছি, ওয়ার্কলোডের ব্যাপারে আমাকে কতটা সতর্ক হতে হবে, সেটা নিয়ে তিনি সবসময় বলেছেন।’
“তারপর আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম যে, আমাকে আরেকটু সতর্ক হতে হবে। বিসিসিআইকে ফোন করে বলেছিলাম, আমি নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকতে চাই না, কারণ পাঁচ টেস্টের সিরিজের সব ম্যাচে আমার সর্বোচ্চটা দিতে পারব না। সেসময়, বিসিসিআই আমাকে নেতৃত্বের জন্য ভাবছিল। কিন্তু আমাকে না বলতে হয়েছিল। এটা দলের জন্যও ভালো নয় যে, পাঁচ টেস্টের সিরিজে কেউ নেতৃত্ব দিচ্ছে তিন ম্যাচে এবং অন্য কেউ দুই ম্যাচে। দলের জন্য এটা ভালো কিছু নয়।”
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে পিঠে চোট পান বুমরাহ। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও আইপিএলের শুরুতে খেলতে পারেননি বুমরাহ। ২০২৩ সাল থেকেই এই ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। দলের স্বার্থে এবারে তাই অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাবটা ফিরিয়েই দিতে হয়েছে বুমরাহকে। এমনকি ইংল্যান্ড সিরিজে পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনি খেলবেন তিনটিতে। তবে কোন তিনটি, সেটা এখনই নির্ধারণ হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম