কমবেশি সবাই চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন। চুলের যত্নে তাই অনেকেই নামি-দামি তেল, শ্যাম্পু, সিরাম এমনকি নানা রকমের ট্রিটমেন্ট করেন। কিন্তু তারপরও চুল পড়া কমে না। অনেকের মতে, সারা ক্ষণ চুল বেঁধে রাখলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার সারা ক্ষণ চুল খুলে রাখাও ঠিক নয়। কারণ, রাস্তার ধুলোবালি লেগে মাথার ত্বক, চুল নষ্ট হয়। চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিনের জীবনের কিছু ভুলের কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যেমন-
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস: ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেল-মসলা দেওয়া খাবার খেলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে ভিটামিন, প্রয়োজনীয় নানা খনিজের ঘাটতি থাকলে চুল কোনও পুষ্টি পাবে না। তাই সবুজ শাকপাতা, বাদাম, বীজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— খাওয়া প্রয়োজন।
কম ঘুম : অনেকেরই রাত জাগার অভ্যাস আছে। এতে ঘুম ব্যাহত হয়। এর ফলে চুল দ্রুত পেকে যায়।
শরীরচর্চার অভাব : চুল ভাল রাখতে গেলে শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তবেই রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছায়। ফলে চুল পড়া কমে।
উদ্বেগ, মানসিক চাপ: খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে শরীরে নোরপাইনফ্রাইন বলে এক ধরনের রসায়নিক তৈরি হয়। যার ফলে ফলিক্লগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাড়াতাড়ি চুল পেকে যায়। মানসিক চাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ম করে যোগাসন করতে হবে। পাশাপাশি, কাজের ফাঁকে সময় বের করে মন ভালো রাখার জন্য বেড়াতে যাওয়া, গান শোনার মতো কাজগুলি করতে পারেন।
রাসায়নিকের ব্যবহার: চুলে রাসায়নিকের ব্যবহারে তৎক্ষণাৎ চুল ঝলমল করে ওঠে। কিন্তু এটা মাত্র কয়েকদিনই স্থায়ী হয়। পরবর্তীতে রাসায়নিক প্রভাবে চুল এমনভাবে পড়তে থাকে যে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
খুলনা গেজেট/ এএজে