অনিশ্চয়তার বাতাবরণ ছিল ম্যাচের সমীকরণেই। সেটাকে মাঠে কী নিখুঁতভাবেই না ফুটিয়ে তুললেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যুবারা। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের পর জয়ের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই হেলে ছিল।
পাকিস্তানের ১৫৬ রানের লক্ষ্যটা বাংলাদেশকে তাড়া করতে হতো ৩৮.১ ওভারের মধ্যে। ফলে ৫ রাণের হারে শেষ হয় স্বপ্ন ছোঁয়া।
কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতেই ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টাতে শুরু করে ম্যাচের গতি। এই পাকিস্তান জিততে পারে তো এই বাংলাদেশ―এভাবেই এগিয়েছে ম্যাচের প্রেক্ষাপট। অনিশ্চয়তারও তো একটা শেষ আছে। শেষের সেই বিষাদটা বাংলাদেশের যুবাদের।
৩৮.১ ওভারে রানটা তো বাংলাদেশ তাড়া করতে পারেইনি, ম্যাচটাও হেরেছে। পেসারদের জন্য বাউন্স-সুইং, স্পিনারদের জন্য টার্ন―সবই মিলছিল বেনোনির উইকেট থেকে। বোলারদের যেটা করা দরকার ছিল, লাইন-লেংথটা খুঁজে নেওয়া।
তাতেই ব্যাটারদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। যেটার প্রথম শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
বিশেষ করে রহনত দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবনের কথা না বললেই নয়। দীর্ঘদেহী পেসার রহনত তাঁর উচ্চতা কাজে লাগিয়ে যেমন বাউন্স আদায় করেছেন, তেমনি লাইন-লেংথেও একবিন্দু ছাড় দেননি। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার পারভেজ।
দুজনের শিকার চারটি করে উইকেট। তবে ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় সপ্তম উইকেট জুটি থেকে। এই জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেছেন আরাফাত মিনহাজ ও আলি আশফান্দ।
রান তাড়ায় পাকিস্তানের বোলারদের আগুনে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদেরও। লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশ শেষ পর্যন্তই ছিল। ১২৭ রানে ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ উইকেটে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন বর্ষণ ও মারুফ মৃধা। কিন্তু ৫ রান দূরে থাকতে মারুফ আউট হলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়। ৩৫.৫ ওভারে বাংলাদেশ অল আউট হয় ১৫০ রানে। পাকিস্তানের জয়ের নায়ক পেসার উবাইদ শাহ ৫ উইকেট নিয়েছেন। তিনটি উইকেট নিয়েছেন আলী রাজা।
খুলনা গেজেট/কেডি