সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপাটা এখন বাংলাদেশের অধিকারে। ওটা জিতে এনেছেন আকবর আলীরা। আগামী যুব বিশ্বকাপ অভিযানের জন্য তাদের উত্তরসূরিদের প্রস্তুত করতে শুরু হয়েছে আবাসিক ক্যাম্প। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে চার সপ্তাহের এই ক্যাম্পটি। ৪৫ জন খেলোয়াড় তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করছেন।
ক্যাম্প শুরুর আগে মিরপুরে তিনদিনে ৪৫ জন ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল পাওয়ার পরই তিনদিনে ৪৫ ক্রিকেটার ও ১২জন সাপোর্টিং স্টাফকে বিকেএসপিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার প্রথম দিনের অনুশীলন হয়েছে বিকেএসপির ইনডোরে। ওখানে ১৫ জনের একটি গ্রুপ ব্যাটিং- বোলিং করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় কোচ নাভিদ নেওয়াজ এবং রিচার্ড স্টনিয়ারসহ কোনও কোচিং স্টাফই নেই এই ক্যাম্পে। বিদেশি কোচিং স্টাফদের অনুপস্থিতিতে দেশীয় কোচরাই তত্ত্বাবধান করছেন। দায়িত্ব বর্তেছে মেহরাব হোসেন, তালহা জুবায়ের এবং মোহাম্মদ সেলিমসহ স্থানীয় কোচিং স্টাফদের ওপর।
রবিবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পাওয়া মেহরাব হোসেন অনুশীলন সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমাদের ক্যাম্পটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অবস্থায় আমরা পাঁচদিনের স্কিল প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করবো ব্যাটসম্যান ও বোলারদের নিয়ে। বোলারদের ক্ষেত্রে আবার স্পিনার এবং পেসার আলাদা করে হবে পাঁচদিনের স্কিল প্রোগ্রাম। ব্যাটসম্যানদের জন্যও এটা একইরকম থাকবে। পাঁচদিনের এই প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর আমরা পরবর্তী প্রোগ্রামে যাবো। নেট সেশনে একজন বোলার এবং ব্যাটসম্যান আটদিন সময় পাবে। আমরা ওই আটদিন তাদের ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে পারবো। এরপর ৪৫ জন খেলোয়াড়কে তিনটি দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলা হবে। ওখানকার পারফরম্যান্স নির্বাচকদের দল গঠনে সহায়ক হবে। ’
আকবরদের সঙ্গে যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। এবারের যুব দলের ক্যাম্পেও আছেন এই তরুণ। আবার মাঠে ফিরতে পেরে খুশি নওরোজ বলেছেন, ‘অনেকদিন পর মাঠে ফিরে খুব ভালো লাগছে। বিসিবিকে ধন্যবাদ এমন একটি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার জন্য। এত সমস্যার মধ্যেও নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারছি, এটার কৃতিত্ব বিসিবির। ঘরে বসে থাকার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও আশা করি দ্রুতি এটা পুষিয়ে নিতে পারবো।’
আরেক ক্রিকেটার রিহাদ খান বলেছেন, ‘একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারার মধ্যে অনেক সুবিধা আছে। অনুশীলনের মাধ্যমে সবাই মিলে নিজেদের তৈরি করে ফেলতে পারবো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর