আলোচিত যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সুজন সরকার (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তপন কুমার সিংহ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আড়ংঘাটা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে মামলার সন্দিগ্ধ আসামি সুজন সরকারকে গ্রেপ্তার করে। একই রাতে পুলিশ ১ টি বিদেশি পিস্তল, পিস্তলের কার্টুস ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুজন সরকারের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় মামলা ছিলো। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৪ জুন রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে কুয়েট পকেট গেট সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে যুবলীগ নেতা আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো। এ সময় ফুলবাডিগেটের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনজন দূর্বৃত্ত তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর নিহতের পিতা সিআইডি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আড়ংঘাটা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) তপন কুমার সিংহ জানান, আরিফ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা আমির হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি জানান, এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে মো. সুজন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সুজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া ঘোনাডাঙ্গা এলাকার দুলাল সরকারের ছেলে।
এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর কুয়েট সড়কে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আরিফ হোসেন নিহত হন। নিহত আরিফ যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। আরিফ হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় বেশ আলোচিত হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম