যুদ্ধের জন্য সামরিকভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে রাশিয়ার স্কুলপড়ুয়া শিশুদের। খেলার মাঠগুলোকে পরিণত করা হয়েছে প্যারেড গ্রাউন্ডে। শেখানো হচ্ছে যুদ্ধের নানা কলা-কৌশল। এমন তথ্য দিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। তারা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা সংকট কাটাতে শিশুদের দিকে ঝুঁকছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে শুরুতে বেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও যতদিন যাচ্ছে ততই দুর্বল হচ্ছে রাশিয়ার অবস্থান। এরই মধ্যে বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করে নিয়েছে কিয়েভ। রাশিয়ার ভেতরেও হামলা করে যাচ্ছে তারা। পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের অস্ত্র সহায়তা।
এতে যুদ্ধের কিছু ফ্রন্টে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, ভয়াবহ সেনা সংকটে পড়েছে মস্কো। তাই এবার স্কুলপড়ুয়া শিশুদের রণাঙ্গনে নামানোর পরিকল্পনা করছে ক্রেমলিন।
সমরবিদ্যা শেখানোর পাশাপাশি মারণাস্ত্র চালানোর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে শিশুদের। শেখানো হচ্ছে পরিখা খনন, গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গোলাবারুদ ব্যবহারের কলা-কৌশল। এতে স্কুলের খেলার মাঠগুলো হয়ে উঠছে একেকটা প্যারেডগ্রাউন্ড।
শুধু প্রশিক্ষণই নয়, মাতৃভূমি রক্ষায় জোর দিতে স্কুলগুলোতে গঠন করা হয়েছে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পরিবর্তন আনা হয়েছে জাতীয় পাঠ্যক্রমেও। যাতে তুলে ধরা হয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের সঙ্গে দূরত্বের বিষয়টি। বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ক্ষোভের অনুভূতি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে পুতিন সরকার।
স্কুলে সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়টিতে কিছু অভিভাবক ও শিক্ষকের আপত্তি থাকলেও রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘আরআইএ নভস্তির’ সমীক্ষা বলছে, ৭৯ শতাংশ অভিভাবকই একে সমর্থন করেন।
বলা হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক প্রশিক্ষণের এই প্রচলন ছিল সোভিয়েত আমলে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নতুন করে তা চালু করেছে পুতিন প্রশাসন।
খুলনা গেজেট/এনএম