যুদ্ধকবলিত সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে সরিয়ে নেওয়া প্রায় ৭০০ বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত ১৩৫ জনকে রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় নেওয়া হয়েছে। রয়্যাল সৌদি এয়ারফোর্সের ৩টি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের জেদ্দায় নেওয়া হয়। বিকেলে জেদ্দা বিমানবন্দরে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তাদের স্বাগত জানান।
আজ বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুদান থেকে সৌদি এয়ারফোর্সের একটি ফ্লাইটে ৩৫ জন ও আরেকটি ফ্লাইটে ২৫ জনসহ মোট ৭০ জন বাংলাদেশি জেদ্দায় পৌঁছান। আরও প্রায় ৬৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সুদান থেকে আরেকটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলেও জানা গেছে।
সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশিরা আজ রাত ১টার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
সুদান থেকে প্রথম দফায় নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বাস করেন। তাদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন, পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
সুদানে দেশটির সামরিক এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাতের মধ্যে গত ২ মে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশিকে ১৩টি বাসে খার্তুম থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে তাদের সৌদি জাহাজে করে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে জাহাজের অভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ গতকাল ৩টি উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, ‘জাহাজ পরবর্তীতে কখন পাওয়া যাবে তা আমরা ঠিক জানি না। তবে শিগগির পাওয়ার আশা করছি।’
যারা দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এইচ