যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে পুলিশের হাতে। এ বছর ২৩৫ দিনে দেশটিতে পুলিশি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৭৫১ জন। ৮ মাসে মাত্র ১২ দিন পুলিশের হাতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এসব তথ্য প্রকাশ করলো একটি গবেষণা সংস্থা। যারা বলছে, মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচার হয় না বললেই চলে।
কৃষ্ণাঙ্গ জ্যাকব ব্লেককে গুলির এ ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে মার্কিন পুলিশ। প্রতিদিনই দেশটিতে কেউ না কেউ বিনা বিচারে হত্যার শিকার হচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর মাত্র ১২ দিন পুলিশের হাতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি যুক্তরাষ্ট্রে।
বছরের ৮ মাসেই পুলিশি হত্যার শিকার হয়েছে সাড়ে ৭শ’র বেশি মার্কিন নাগরিক। নিহতদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। যে কারণে পুলিশের ওপর ক্ষোভ বেড়েই চলেছে অ-শ্বেতাঙ্গদের।
এক মার্কিন নাগরিক বলেন, নিরস্ত্র মানুষের ওপর এভাবে গুলি করার ঘটনা আমরা কখনও মেনে নিতে পারিনা। এটি স্পষ্ট জাতিগত ভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর অবিচার।
আরেক নাগরিক বলেন, আমরা মানুষ হিসেবেই আমেরিকায় থাকতে চাই। কোন বৈষম্য যেন না করা হয় সেই দাবি নিয়েই এখানে এসেছি।
গেলো ৫ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে দিনে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয় পুলিশের হাতে। বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার গড়ে প্রায় এগারোশ’ মানুষ। যাদের অনেকে নিরস্ত্র থাকার পরও গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় পুলিশের হাতে তাদের নিহত হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি।
বর্ণবাদবিরোধী সমাজকর্মী ত্রিভোর নোহা বলেন, ইলিনয়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা গুলি ছুঁড়লো তাদের হয়তো আটক করা হবে। কিন্তু কিছুই না করে পুলিশের গুলি খেতে হয়েছে জ্যাকব ব্লেককে। এটা পরিষ্কার যে কালো চামড়া তাদের কাছে আগ্নেআস্ত্রের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের সংগঠনের গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুলিশের হাতে যতোগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, তার ৯৯ ভাগের কোনো অভিযোগই গঠন হয়নি। মাত্র ৩টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন হলেও দোষী সাব্যস্ত হয় মাত্র একজন।
খুলনা গেজেট/এআইএন