যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে চারজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) ওহাইও অঙ্গরাজ্যের বাটলার টাউনশিপের একাধিক স্থানে মোট চারজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। রোববার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ডেটনের ঠিক উত্তরে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ছোট ওই শহরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাটলার টাউনশিপ পুলিশ প্রধান জন পোর্টার বলেন, স্টিফেন মার্লো নামে এক ব্যক্তিকে এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি ওই ব্যক্তি সম্ভবত এখনও ‘সশস্ত্র এবং বিপজ্জনক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বাটলার টাউনশিপ পুলিশ প্রধান বলেছেন, গোলাগুলি ও প্রাণহানির ঘটনার তদন্ত করতে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে মন্টগোমারি কাউন্টি শেরিফ অফিস, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং অ্যালকোহল, টোব্যাকো, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ)।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মার্লো ওহাইও থেকে পালিয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এফবিআই বলেছে, লেক্সিংটন, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানাপলিস এবং শিকাগো শহরের সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক রয়েছে এবং সে এখন এই শহরগুলোর মধ্যে একটিতে অবস্থান করতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সর্বশেষ এই হামলার মতো প্রায় সব সহিংসতার ঘটনায়ই প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে থাকে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ-এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার কারণে বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়ে থাকে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা মহামারিতে রূপ নিয়েছে এবং উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বিশেষ এই মহামারির ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের মধ্যে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বন্দুক সহিংসতার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে গত মে মাসে। গত ২৪ মে টেক্সাসের উভালদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই