রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করছেন আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না। আবার কোনো যানবাহন ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলও যেতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও রয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কাজলা থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে শনিরআখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এই মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় টায়ার ও কাঠ জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেয়া হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের সময় শর্টগানের গুলিতে শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন এবং সিয়াম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহতরা জানান, সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলোপাতাড়ি গুলিতে তারা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খুলনা গেজেট/এএজে