যশোর জেনারেল হাসপাতালে ১৬ মার্চ রাতে ভর্তি করা হয় অজ্ঞাতনামা এক মহিলাকে। তার বয়স ৪০ বছর। কথাও বলতে পারেন না। যে কারণে তার নাম, ঠিকানা জানাও সম্ভব হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় জিডি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। থানা পুলিশ পিবিআইকে অবহিত করলে শুরু হয় তার পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা। এ কাজে শেষ পর্যন্ত পিবিআই সফল হয়েছে। অজ্ঞাত ওই নারী ফিরে পেয়েছেন তার পরিবারকে।
যশোর পিবিআই’র এসপি রেশমা শারমিন জানিয়েছেন, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর পিবিআই জেলা ক্রাইমসিন টিম ২০ মার্চ যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে অজ্ঞাত ওই নারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে এলআইসি, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় প্রেরণ করেন। সেখান থেকে খোঁজ নিয়ে জানানো হয় অজ্ঞাত ওই মহিলার নাম ফরিদা খাতুন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কান্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের মেয়ে। তিনি মানসিক রোগী। ভিকটিমের এনআইডি নং-৪৬৪০৮৭১৯১১।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে ভিকটিম ফরিদা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ভিকটিম ফরিদা খাতুন (৪০) প্রায় এক বছর যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছেন। তিনি গত এক মাস যাবৎ বাড়ি হতে নিখোঁজ ছিলেন। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পাচ্ছিলেন না। ভিকটিম কি করে যশোর আসলেন, সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। পরবর্তীতে ২০ মার্চ ভিকটিম ফরিদা খাতুনের দুই ভগ্নিপতি আব্দুল গনি (৬০) ও আবু চাঁনসহ (৬৫) পরিবারের সদস্যরা ফরিদাকে নিতে পিবিআই যশোর অফিসে আসেন। পুলিশের বিধি মেনে তাকে তুলে দেয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে।
খুলনা গেজেট/এনএম