যশোর রেলস্টেশনের লাইন সম্প্রসারণ ও ইয়ার্ড নির্মাণের কারণে স্টেশন এলাকায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বাড়িঘরসহ অর্ধশত স্থাপনা এস্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ের বিভাগীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান এর নেতৃত্বে কয়েক ডজন রেলপুলিশ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এসময় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ঘরের মালামাল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। অবশ্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সপ্তাহখানেক আগে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়। এছাড়া সোমবার দিনভর এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং ও নোটিশে বলা হয় রেলস্টেশন এলাকায় প্ল্যাটফর্ম ও এর আশেপাশের এলাকায় রেলের জমিতে যারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বসবাস অথবা ব্যবসা করছেন সবাইকে ২৩ ফেব্রুয়াারি সকাল ৯টার মধ্যে জমি খালি করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ক্ষতিগ্রস্তের দায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নেবে না। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে এস্কেভেটর নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে কর্তৃপক্ষ। এসময় রেলস্টেশন ও রেলগেট দক্ষিণাংশের দুই পাশের অর্ধশত বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেয়া হয়। আগামী দু’দিন এ অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ চলার সময় হা-হুতাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
স্থানীয় মোতালেব হোসেন, ইব্রাহিম, মনিরুজ্জামান, আলতাফ, হোসেন বাবু, ইসলাম হোসেন, কালু মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, জয়নালসহ কয়েক ব্যক্তি জানান, তারা ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে রেলওয়ে স্টেট অফিসারের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছিলেন। এরপর সেখানে আধাপাকা ঘর তৈরি করে বসবাস ও ব্যবসা করছিলেন। এখন তাদের মাথার ছাদটুকু চলে গেল। তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান বলেন, রেলওয়ের জমির অবৈধ দখলদারদের বেশ আগে থেকেই নোটিশ করা হয়েছে। চলতি মাসেই দুবার মাইকিং করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যশোরে রেলওয়ের ইয়ার্ড নির্মাণ করার প্রয়োজনে সরকারি জমি রিকভারি করা হচ্ছে। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম আগামী কয়েক দিন চলবে। এ বিষয়ে কোন ওজর আপত্তি কাজে আসবে না। জনস্বার্থে এখানে রেলওয়ের ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে ও রেললাইন সম্প্রসারণ হবে। এছাড়া যশোরে অত্যাধুনিক স্টেশন করতে প্ল্যাটফর্ম এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ তালিকায় কমপক্ষে ১শ’ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম