যশোরের রাজারহাটে মিলল স্বর্ণের বিশাল চালান। বিজিবির চ্যালেঞ্জ ও সংকেত উপেক্ষা করে পালানোর সময় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে ওই স্বর্ণ চালানবাহী প্রাইভেট কার। ৪৯ বিজিবি যশোর ও ২১ বিজিবি খুলনার অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০টি স্বর্ণবার। ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোরে আসা ওই স্বর্ণ চালান জব্দ করা হয়। এসময় চলন্ত কার থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায় সিন্ডিকেট সদস্যরা।
স্বর্ণ চালান উদ্ধার ঘটনায় এদিন রাত সাড়ে ৮ টায় ব্রিফিং করেন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফন্যান্ট কর্ণেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী। তিনি জানান, বিজিবি গোপন সূত্রে সংবাদ পায় একটি বড় স্বর্ণ চালান ভারতে পাচারে উদ্দেশ্যে সাদা রঙের প্রাইভেট কার (যার নম্বর ঢাকা মেট্টো-গ-৩৫-৯৫৭৭) যশোরে দিকে আসছে। এসময় ৪৯ ও ২১ বিজিবি যৌথ টিম ওই প্রাইভেটটি ধরার চেষ্টা করে। প্রথমে ৪৯ বিজিবি প্রাইভেটটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাইভেট চালক না থামিয়ে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে বিজিবি টিম পৌঁছানোর আগেই চোরা কারবারিরা পালিয়ে যায়। এসময় গাড়ি তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৬০টি স্বর্ণবার উদ্ধার হয়। ওই সোনাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যদের মুখোশ উন্মোচনে অভিযান চলছে। ধাওয়ার সময় দ্রুত পালাতে গিয়ে ভেঙে চুুরমার হওয়া প্রাইভেটটিও জব্দ করা হয়েছে। কারটির মূল্য ২০ লাখ টাকা। চোরাচালান রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, জানুয়ারি ২০২২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ৯৩ কেজি ৩শ’ ৪৭ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়ন। যার সিজার মূল্য ৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজা ২শ’ টাকা।
বেনাপোল এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারের বাইরেও সীমান্তের বিভিন্ন চোরাচালানী ঘাট ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দীর্ঘদিন বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার ভারতে পাচার করেছে চোরাকারবারী ও বহণকারীরা। কিন্তু মজার ব্যাপার এসব অভিযানে শুধু বহনকারী শ্রমিকই আটক হয়েছে। আটক এড়িয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে গড ফাদার রাঘব বোয়ালরা। সোনা উদ্ধার ও বহনকারী আটকের পর মামলা হলেও পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম দূর্বল হওয়ায় চালানগুলোর মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ এসজেড