খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

যশোর ফেন্সি মার্কেটে আগুনে দুটি দোকান ভস্মিভূত

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের হাটচান্নি ফেন্সি মার্কেটে আগুন লেগে দুটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৭অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে বিষ্ণু ঘোষের বিস্কুটের গোডাউন ও কাশেম হোসেনের সুতার দোকান ভস্মিভূত হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ফেন্সি মার্কেটে প্রথমে বিষ্ণু ঘোষের বেকারির তৈরি খাদ্য সামগ্রীর গোডাউনে আগুন ধরে। পরে তা পাশের কাশেম স্টোরের সুতার দোকানে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ২২ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বিষ্ণু ঘোষের ছেলে বিবেক ঘোষ জানান, তাদের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ বেকারির খাদ্যপণ্য মজুদ রাখা ছিল। যা তারা পাইকারি বিক্রি করেন। আগুনে সবই শেষ বলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন তিনি। তিনি জানান, গোডাউনে ১২০ প্যাকেট বিভিন্ন ব্রান্ডের বিস্কুটের কার্টন ছিল। তাছাড়া কেক, চানাচুর, চকলেট, পটেটোসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ছিল।

পাশের দোকান সৈনিক স্টোরের স্বত্তাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টের পান মার্কেটে আগুন ধরেছে। পরে আগুন ধরার ব্যাপারটা নজরে আসে। তিনি বলেন, কাশেম স্টোরে ছিল সুতা। এটা ওই প্রতিষ্ঠানের গোডাউন। এখানে কয়েক লাখ টাকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুতা ছিল।

আল আমিন স্টোরের স্বত্তাধিকারী আল আমিন বলেন, ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন ধরেছে ব্যাপারটা নজরে আসে। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ২২ থেকে ২৫ মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সূত্রপাত। তারা খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাশের লালদীঘি থেকে পাইপ টেনে পানি নেওয়া হয় ঘটনাস্থলে। তবে, দু’টি দোকানে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।

এদিকে, আগুনের সংবাদ পেয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এসে দ্রুত তাদের মালামাল সরিয়ে ফেলেন। যে কারণে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। একই সাথে শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহজ হয়েছে বলে মন্তব্য প্রত্যক্ষদর্শীদের।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!