যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ৯৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে, ভায়রা ভাই ও শ্যালক। এ নিয়ে শহরে রীতিমত সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শুক্রবার ১৯ উপদেষ্টাসহ এ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর। সেই সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহিন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার ৯৪ সদস্যের এই কমিটির অনুমোদন দেন। এ কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের শ্যালক এসএম হুমায়ুন কবীর কবু, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ভায়রা ভাই শেখ আতিকুর রহমান বাবু, সদস্য হয়েছেন ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস।
কমিটি ঘোষণা হবার পর এ নিয়ে রীতিমত শহরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে নানা মন্তব্য ছুঁড়ছে। যশোরের শীর্ষ দু’নেতার দৌড়ঝাঁপে নতুন কমিটির এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, গত কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিক ও দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু নতুন কমিটিতে স্থান পাননি। যা নিয়েও নানা বির্তক রয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, নতুন কমিটিতে সব সময় কেউ বাদ পড়বে কেউ নতুন করে যুক্ত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর আমার পরিবারের যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, তারা আগে থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নেতৃত্বের যোগ্যতায় তারা কমিটিতে আসতেই পারে, এটা স্বাভাবিক।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি