যশোর আদালতের পিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম. ইদ্রিস আলীকে শো’কজ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির সদস্য সৈয়দ কবীর হোসেন জনির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে শো’কজ করা হয়েছে বলে সমিতি সূত্র জানিয়েছে। একইসাথে নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে শো’কজের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট। তিনি বলেছেন, রোববার ইদ্রিস আলীকে সমিতির পক্ষ থেকে শো’কজের কপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সদস্য অ্যাড. সৈয়দ কবীর হোসেন জনি। ওই অভিযোগে বলা হয়, একটি হত্যা মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী কবীর হোসেন জনি। অথচ এম. ইদ্রিস আলী সরকারি কৌঁসুলি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এই হত্যা মামলার সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে তার পছন্দের আইনজীবী দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে এক আসামিকে জামিন করানো হয়। অথচ আইনজীবী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেলা আইনজীবী সমিতির কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এছাড়া, ইদ্রিস আলী পিপি হয়েও মামলার সার্টিফাইড কপি তুলে আসামি পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন। যা আইন বহির্ভূত ও সমিতির শৃঙ্খলা বিরোধী। কেন তিনি এ কাজ করেছেন তা তিন দিনের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতিকে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে শো’কজে উল্লেখ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট।
খুলনা গেজেট/কেডি