যশোরে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চলতি বছরের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। টানা তিনদিন করোনা শনাক্তের সংখ্যায় খুলনা বিভাগের শীর্ষে রয়েছে যশোর জেলা। করোনা সংক্রমণ ঊর্দ্ধমূখী হওয়ায় সীমান্তবর্তী এই জেলা রেডজোনের আওতায় রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনায় ও দু’জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে যশোরে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ২৪৪ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আরিফ আহমেদ জানান, হাসপাতালের রেডজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদরত আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হলে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেডজোনে চিকিৎসারত অবস্থায় বুুধবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। কুদরত আলীর বাড়ি যশোর সদর উপজেলার ইছাপুর গ্রামে। করোনার উপসর্গ নিয়ে এদিন হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হচ্ছেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুকদেবপুর গ্রামের অব্দুর রহিম (৬৫) ও ঝিনাইদহের শ্রীরামপুরের তরিকুল ইসলাম (৫৫)। আব্দুর রহিমকে মঙ্গরবার রাত ১০টার দিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ওইদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তরিকুল ইসলামকে ভর্তি করা হলে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা দু’জনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর ভেতর যবিপ্রবি থেকে ২৮৫টি নমুনায় ১১৯ জন। র্যাপিড অ্যন্টিজেন ১৮৯টি পরীক্ষায় ১০৭ জন ও জিন এক্সপার্ট ৫টি পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের শতকরা হার ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এদিকে, আগামী ৩১ জানুযারির মধ্যে জেলার শতভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য বুধবার হতে ঈদগাহ ময়দানে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
খুলনা গেজেট/এমএম